এসেছে আমের মৌসুম।
মধুমাসে রসালো ফলের ঘ্রাণে ভরে উঠবে চারপাশ। তবে কিছু অসৎ
ব্যক্তির কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
এসব ফলমূলের প্রাকৃতিক স্বাদ ও
ঘ্রাণ। ফলের সঙ্গে ফরমালিন
মেশানোর কারণে, এই সমস্ত ফল খেয়ে
মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে
পড়ছেন সাধারণ মানুষেরা। আর তাই ফল
কেনার আগে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে ফরমালিনমুক্ত আছে কি না। চলুন,
জেনে নেয়া যাক ফরমালিন দেয়া আম চেনার ৭টি সহয পদ্ধতি
কীভাবে চিনবেন-
- প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কেননা ফরমালিনযুক্ত আমে মাছি বসবে না।
- আম গাছে থাকা অবস্থায়, বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।
- গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, এটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো আবঅর বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।
- কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আম গুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
- হিমসাগর ছাড়াও আরও অন্যান্য জাতের আম আছে যা কিনা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এইসব আমের ত্বকে দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।
- আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ ও থাকতে পারে।
- আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখা যায় যে কোনও সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/ মিষ্টি কোনও স্বাদই নেই, তাহলে বুঝতে হবে যে আমে ওষুধ দেয়া হয়েছে।
আজ এ পর্যন্তই কথা হবে পরবর্তী টিউনে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
*আল্লাহাফেজ*
*আল্লাহাফেজ*
Post a Comment
0 comments
প্রিয় পাঠক পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে দয়া করে গঠনমূলক মন্তব্য করুন । আপনার ছোট্ট একটি মন্তব্য আমাকে আরও ভালো এবং উন্নত মানের পোস্ট লিখতে উৎসাহ প্রদান-করবে। আর প্রাসঙ্গিক যেকোনো প্রশ্ন-সাহায্য-জিজ্ঞাসা-অভিযোগ থাকলে। মেইল করুন mrlutfor1@gmail.com এই ঠিকানায়। আপনার ছোট্ট একটি মন্তব্য আমার নিকট অধিক মূল্যবান। আসা-করছি সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদান্তে -লুৎফর রহমান।